Posts

Showing posts from October, 2022

স্বাধীনতার পর ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন:

  স্বাধীনতার পর ভারতের বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন :- ☑️ ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন /রাধাকৃষ্ণন কমিশন(Radhakrishnan commission1948-49) ক) ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ এর সভাপতিত্বে 19 48 সালে 4 নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। এবং 1949 সালে কমিশন তার সুপারিশ পেশ করেন। খ) এই কমিশনের সদস্য ছিলেন ডি. তারা চাঁদ ,ড. জাকির হোসেন, ড. মেঘনাথ সাহা ,ড. আর্থার ই মর্গ্যান ড .নির্মল কুমার সিদ্ধান্ত ,ড.জেমস এম ডাফ  । গ) গবেষণা এবং শিক্ষার মান, পাঠক্রম এবং শিক্ষার বাহন শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর আবাসন, নিয়মানুবর্তিতা ,উচ্চ শিক্ষা প্রশাসন ,নারী শিক্ষা, গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কমিশন প্রকাশ করেন। ☑️ মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন /মুদালিয়ার কমিশন (1952- 53 secondary education mission or mudaliar commission) ক) মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দি লক্ষন স্বামী মুদালিয়ার সভাপতিত্বে 1952 সালে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। 1953 এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। খ) এই কমিশনের 8 জন সদস্য ছিলেন, যার মধ্যে 6 জন ভারতীয় ও দুজন বিদেশি। সদস্যগণ হলেন - শ্রীমতি হংস মেহেতা, শ্রী জে এ তারপোরওয়ালা, অনাথ ...

শিক্ষাশ্রয়ী দর্শন-ভাববাদ,প্রকৃতিবাদ,বস্তুবাদ ও প্রয়োগবাদ

Image
  শিক্ষাশ্রয়ী দর্শন-ভাববাদ,প্রকৃতিবাদ,বস্তুবাদ ও প্রয়োগবাদ ।  এখানে চারপ্রকার দার্শনিক মতবাদ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যথা-      ভাববাদ,প্রকৃতিবাদ,প্রয়োগবাদ ও বস্তুবাদের তুলনামূলক আলোচনা    ভাববাদ ( Idealism) প্রকৃতিবাদ- (Naturalism) প্রয়োগবাদ (Pragmatism) বস্তুবাদ/বাস্তববাদ(Realism) সমর্থক- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিবেকানন্দ দয়া নন্দ সরস্বতী ঋষি অরবিন্দ শঙ্করাচার্য সক্রেটিস প্লেটো ফ্রয়েবেল রাধাকৃষ্ণন প্রমুখ সমর্থক-রুশো, এ্যারিস্টোটল, হার্বার্ট , ল্যামার্ক জন ডিউই,কিলপ্যাট্রিক,ইউলিয়াম জেমস প্রমুখ সমর্থক-হার্বাট স্পেনসার,রাসেল,জন লক,ইরাসমাস,মিলটন,মুন্সী প্রেম চাঁদ জনক -প্লেটো জনক- এমিল জোলা (Émile Zola) জনক-চার্লস স্যান্ডার্স পিয়ার্স জনক- অ্যারিস্টটল শিক্ষার লক্ষ্য- আত্মোপলব্ধি, আধ্যাত্মিক বিকাশ, পবিত্র জীবনের প্রস্তুতি, নৈতিক বিকাশ, সংস্কৃতির প্রসার, বুদ্ধিও যৌক্তিকতার বিকাশ শিক্ষার লক্ষ্য-শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি,সংস্কৃতির বিকাশ,পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হওয়ার সার্থক ক্ষমতা অর্জন,বর্তমান ও ভবিষ্যতের সুখ অর্জন,পবিত্র জীবনের জন্য প্রস্ততি,বৌদ্ধিক ও যৌক্তিক শক্তির ...

শিক্ষার উপাদান-শিক্ষার্থী,শিক্ষক,পাঠক্রম ও পরিবেশ।

Image
  শিক্ষার উপাদান-শিক্ষার্থী,শিক্ষক,পাঠক্রম ও পরিবেশ। শিক্ষার উপাদান গুলি কে প্রধানত পাঁচটি  ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ১) শিক্ষার্থী ২) শিক্ষক ৩) পাঠক্রম   ৪) সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি   ৫) পরিবেশ।                     শিক্ষার্থী শিক্ষার প্রথম ও প্রধান উপাদান হলো শিক্ষার্থী।  শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে শিক্ষার যাবতীয় কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়। শিক্ষার্থী এক ধরনের জৈব  মনোসামাজিক সত্তা। আধুনিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্তর্নিহিত শক্তির সার্বিক বিকাশ সাধন করা। শিক্ষার্থী পরিবেশ ও  বংশগতির দ্বারা প্রভাবিত হয়। বংশগতির বাহক জিন। এই জিন ক্রোমোজোমের মধ্যে থাকে। উডওয়ার্থ ও মারকুইস এর মতে,  ব্যক্তি= বংশধারা    x পরিবেশ ব্যক্তি= বংশধারা x পরিবেশ                        শিক্ষক শিক্ষার অপর গুরুুত্বপূর্ণ উপাদান হলো শিক্ষক। সেই প্রাচীনকাল থেকে  আজ অবধি শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। প্রাচীনকালে শিক্ষককে গুরু হিসাবে ...

লুকায়িত পাঠক্রম৷ (Hidden Curriculum)

  লুকায়িত পাঠক্রম৷  (Hidden Curriculum)    লুকায়িত পাঠক্রম হলো এক বিশেষ ধরনের পাঠক্রম যা অপ্রথাগত এবং রাজ্য, জেলা, বিদ্যালয় বোর্ডের দ্বারা লিখিত নয় এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বারা অপ্রত্যক্ষভাবে শিক্ষার্থীরা শিখতে থাকে। লুকায়িত পাঠ্যক্রম শব্দটিতে লুকায়িত ব্যবহারের কারণ এটি সাধারণ শিক্ষার্থী শিক্ষাবিদ এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের কাছে এটি অব্যক্ত বা অজ্ঞাত থাকে। মিচেল হেরালামবসের মতে, শিক্ষার্থী লুকায়িত পাঠক্রম এর দ্বারা সেই সমস্ত বিষয় বস্তু ও শেখে যা বিদ্যালয় উদ্দেশ্যের মধ্যে পড়ে না কিন্তু বিদ্যালয়ের উপস্থিতির মাধ্যমে শিখে যায়।  যেমন বিদ্যালয় কোন শিশু আসবার পর শিক্ষককে গুড মর্নিং বলা, নিজের জায়গায় বসা, শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করলে উঠে দাঁড়ানো,শিক্ষক প্রশ্ন করলে উঠে দাঁড়িয়ে বলা,একসাথে না বলে হাত তোলা, ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলে উঠে দাঁড়ানো এই সমস্ত।  লুকায়িত পাঠক্রম টি প্রথাগত পাঠক্রমের পাঠকে শক্তিশালী করতে পারে অথবা দুর্বলও করতে পারে। লুকায়িত পাঠক্রমের বৈশিষ্ট্যঃঃ    ১) এটি অলিখিত।   ২) এটি অপ্রথাগত (Informal) ৩) শিক্ষক ও ...

মনোবিজ্ঞান কি? মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা।। মনোবিজ্ঞানের পরিসর||

Image
  মনোবিজ্ঞানের শব্দগত অর্থ হলো মনের বিজ্ঞান। মনোবিজ্ঞান শব্দের ইংরেজি সমার্থক শব্দ Psychology (সাইকোলজি) যেটি গ্রিক শব্দ Psyche (সাইকি) এবং Logos (লোগাস) শব্দের সমাহারে সৃষ্টি হয়েছে।Psyche শব্দের অর্থ আত্মা (Soul)  এবং Logos শব্দের অর্থ হল বিদ্যা বা বিজ্ঞান অর্থাৎ মনোবিজ্ঞান হল আত্মার বিজ্ঞান।Psychology শব্দটি প্রথম ১৫৯০ খ্রীস্টাব্দে জার্মান দার্শনিক রুডলফ গোক্লেনিয়াস  ( Rudolph Goclenius  ) তার লেখা বই Psycholgiaতে উল্লেখ করেন। মনোবিজ্ঞান হলো আচরণের বিজ্ঞান। ব্যক্তির প্রত্যক্ষণ(Perception) , প্রজ্ঞা (cognition) ,  মনোযোগ (attention), প্রক্ষোভ (emotion),বুদ্ধি (Intelligent) প্রেষণা( motivation)   মস্তিষ্কে ক্রিয়া-কলাপ (brain functioning) , চিন্তন ইত্যাদি  আচরণের ধারাক্রমানুসারে (Systematically) অধ্যয়ন করা হয় এই শাখায়। মনোবিজ্ঞান প্রথম দিকে দর্শন শাস্ত্রের একটি শাখা ছিল। প্রথম অ্যারিস্টোটল দর্শনশাস্ত্র থেকে মনোবিজ্ঞান কে পৃথক করেন। এই কারণে অনেকে এরিস্টটলকে মনোবিজ্ঞানের জনক বলে গণ্য করেন। মনবিজ্ঞানের অর্থের ক্রমবিবর্তন  সময়ের সাথে মনোবিজ্ঞান...

।।প্রথাগত, অনিয়ন্ত্রিত ও প্রথাবহির্ভূত শিক্ষা ব্যবস্থা।। ।।

Image
  *️⃣  আধুনিক শিক্ষার সাংগঠনিক রূপ  আধুনিক শিক্ষার সাংগঠনিক রূপ তিনটিঃ 1)প্রথাগত বা বিধিবদ্ধ শিক্ষা(formal education) 2)অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা (informal education)  3)প্রথাবহির্ভূত বা বিধি মুক্ত শিক্ষা( non formal education) প্রথাগত বা নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাঃ সংজ্ঞা- প্রথাগত বা নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা হল সেই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা যার মধ্যে শিক্ষার উপাদান গুলি সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে ক্রিয়াশীল থেকে নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয় এবং তার সামগ্রিক ফলশ্রুতি হিসেবে শিক্ষার্থীর জীবন বিকাশ ঘটে। ➡️   প্রথাগত শিক্ষা সংস্থার নাম - বিদ্যালয়, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়  । বৈশিষ্ট্য :-  ১)  এই শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট কর। যেমন আমাদের দেশে শিশু তার তিন বছর বয়সে প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশের অধিকার পায়। ২)প্রথাগত শিক্ষা কৃত্রিম,অস্বাভাবিক ও জটিল।  ৩)দিগন্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে শিক্ষার প্রবেশপথ মাত্র একটি নির্দিষ্ট বয়সে ও নিদৃষ্ট পথেই শিক্ষার্থীকে এই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে প্রবেশ করতে হয়। ৪)প্রথাগত শিক্ষার একটি নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম ...