শিক্ষার উপাদান-শিক্ষার্থী,শিক্ষক,পাঠক্রম ও পরিবেশ।
শিক্ষার উপাদান-শিক্ষার্থী,শিক্ষক,পাঠক্রম ও পরিবেশ।
যথা-
১) শিক্ষার্থী
২) শিক্ষক
৩) পাঠক্রম
৪) সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি
৫) পরিবেশ।
শিক্ষার্থী
উডওয়ার্থ ও মারকুইস এর মতে,
ব্যক্তি= বংশধারা x পরিবেশ
ব্যক্তি= বংশধারা x পরিবেশ
শিক্ষক
একজন সুশিক্ষক ছাত্রের সমগ্র জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।সুশিক্ষক হতে গেলে যে গুনাবলী শিক্ষকের মধ্যে থাকা প্রয়োজন তাহল-
১)নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতা
২)শ্রেনীকক্ষ পরিচালনার দক্ষতা
৩)পর্যবেক্ষন ক্ষমতা
৪)শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে উত্তম যোগাযোগ সাধন করার ক্ষমতা
৫)শিক্ষন দক্ষতা
৬)বিষয়বস্তুর প্রতি গভীর জ্ঞান
৭)সঠিক পরিকল্পনা করার ক্ষমতা
৮)ধৈর্য্য ও ইতিবাচক মনোভাবের অধিকারী
৯)সত্যবাদিতা ও সৎচরিত্রের অধিকারী
১০)পরামর্শদান ও সহপাঠক্রমিক কার্যে অংশদান করার ক্ষমতা
পাঠক্রম
শিক্ষার অন্যতম তাৎপর্যপূর্ন উপদান হলো পাঠক্রম।পাঠক্রমকে বাদ দিলে শিক্ষা অর্থহীন হয়ে পড়ে।পাঠক্রম শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ক্যারিকুলাম (Curriculum) ।এই ক্যারিকুলাম শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ currere থেকে, যার অর্থ পথ (Course) বা দৌড়ের পথ ( Race course) । পাঠক্রম শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় পাঠ ও ক্রম।পাঠ অর্থ হলো পড়ার যোগ্য এবং ক্রম অর্থ হলো যা নির্দিষ্ট স্তর ভিত্তিক।বয়স,আগ্রহ,চিন্তনের ক্ষমতা, আগ্রহ,মনোযোগ,কৌতুহল কে মাথায় রেখে ক্রম বিবেচনা করা হয় ।
পাঠক্রমের ধারণা দুধরণের হয- সংকীর্ণ অর্থে ও ব্যাপক অর্থে।
সংকীর্ণ অর্থে পাঠক্রম হলো শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশ সাধন করা যা শ্রেণীকক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই অর্থে পাঠক্রম অপরিবর্তনীয় ও শিক্ষককেন্দ্রিক।
ব্যাপক অর্থে পাঠক্রম হলো শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষের বাইরে ও ভিতরে যা সক্রিয়তা ভিত্তিক কর্ম করে ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার সমষ্টিকে বোঝায়। বাইরে বলতে খেলার মাঠ, লাইব্রেরী, পরীক্ষাগার, বাগান, শিক্ষনীয় ভ্রমণ ইত্যাদি।এই অর্থে পাঠক্রম পরিবর্তনশীল, শিশুকেন্দ্রিক ও সার্বিক বিকাশ সাধন করে।
পাঠক্রমের প্রকারভেদ
জ্ঞান ভিত্তিক পাঠক্রম
শিশু কেন্দ্রিক পাঠক্রম
অভিজ্ঞতা ভিত্তিক পাঠক্রম
জীবন কেন্দ্রিক পাঠ্যক্রম
সক্রিয়তা ভিত্তিক পাঠক্রম
কেন্দ্রীয় ভিত্তিক পাঠক্রম
শিল্প কেন্দ্রিক পাঠ্যক্রম
সমন্বিত পাঠক্রম
Comments
Post a Comment