শিক্ষাশ্রয়ী দর্শন-ভাববাদ,প্রকৃতিবাদ,বস্তুবাদ ও প্রয়োগবাদ

 







শিক্ষাশ্রয়ী দর্শন-ভাববাদ,প্রকৃতিবাদ,বস্তুবাদ ও প্রয়োগবাদ






। 

এখানে চারপ্রকার দার্শনিক মতবাদ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
যথা-



    









ভাববাদ,প্রকৃতিবাদ,প্রয়োগবাদ ও বস্তুবাদের তুলনামূলক আলোচনা   





ভাববাদ ( Idealism)প্রকৃতিবাদ- (Naturalism)প্রয়োগবাদ (Pragmatism)বস্তুবাদ/বাস্তববাদ(Realism)
সমর্থক- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিবেকানন্দ দয়া নন্দ সরস্বতী ঋষি অরবিন্দ শঙ্করাচার্য সক্রেটিস প্লেটো ফ্রয়েবেল রাধাকৃষ্ণন প্রমুখসমর্থক-রুশো, এ্যারিস্টোটল, হার্বার্ট , ল্যামার্কজন ডিউই,কিলপ্যাট্রিক,ইউলিয়াম জেমস প্রমুখসমর্থক-হার্বাট স্পেনসার,রাসেল,জন লক,ইরাসমাস,মিলটন,মুন্সী প্রেম চাঁদ
জনক -প্লেটোজনক- এমিল জোলা (Émile Zola)জনক-চার্লস স্যান্ডার্স পিয়ার্সজনক- অ্যারিস্টটল
শিক্ষার লক্ষ্য- আত্মোপলব্ধি, আধ্যাত্মিক বিকাশ, পবিত্র জীবনের প্রস্তুতি, নৈতিক বিকাশ, সংস্কৃতির প্রসার, বুদ্ধিও যৌক্তিকতার বিকাশশিক্ষার লক্ষ্য-শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি,সংস্কৃতির বিকাশ,পরিবেশের সাথে অভিযোজিত হওয়ার সার্থক ক্ষমতা অর্জন,বর্তমান ও ভবিষ্যতের সুখ অর্জন,পবিত্র জীবনের জন্য প্রস্ততি,বৌদ্ধিক ও যৌক্তিক শক্তির বিকাশ সাধন।শিক্ষার লক্ষ্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তনশীল। এটি পূর্ব নির্ধারিত নয়। শিক্ষার লক্ষ্য স্থান, কাল ও পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তনশীল। সামাজিক সংগতিবিধান ও সামঞ্জস্যপূর্ণ বিকাশ, নতুন নতুন নৈতিকতা সৃষ্টিশিক্ষার লক্ষ্য- বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুতি, ইন্দ্রিয়ের প্রশিক্ষণ, মানসিক ও শারীরিক বিকাশ, সমাজ ও পরিবেশের সাথে মিথস্ক্রিয়া, বৃত্তিগত প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞানসম্মত ও পরীক্ষা কেন্দ্রিক জ্ঞান নির্মাণ,সুখী জীবনে প্রস্তুতি
শিক্ষক মুখ্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেপ্রকৃতি হল সবচেয়ে শক্তিশালী শিক্ষক।শিক্ষকের ভূমিকা গৌন যেখানে শিশুর অবস্থান কেন্দ্রে। শিক্ষক দর্শক ও পথপ্রদর্শক।শিক্ষক -বন্ধু দার্শনিক ও পথপ্রদর্শক।শিক্ষকের স্থান মুখ্য কারণ তিনি শিশুকে জীবনের বাস্তবতার সংস্পর্শে আনেন। শিক্ষক তার নিজস্ব মতামত কে সরিয়ে বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞানে প্রভাবিত করবেন।
আদর্শবাদ অনুসারে নিয়মিত ও কার্যকর শিক্ষার একমাত্র স্থান হলো বিদ্যালয়।বিদ্যালয়ে হল আদর্শ স্থান শিশুদের আনন্দের সাথে কর্ম করার ক্ষেত্রে।বিদ্যালয় প্রকৃতির কোলে হওয়া বাঞ্ছনী। বিদ্যালয়ের পরিবেশ হবে মুক্ত।বিদ্যালয় হল শিশুর পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগার। এটি সমাজের ক্ষুদ্র সংস্করণ।বিদ্যালয় হল সামাজিকভাবে সুপরিকল্পিত একটি প্রতিষ্ঠান। এটি সমাজের দর্পণ।
১) সবচেয়ে প্রাচীন বিচারধারা এটি ২) আত্মোপলব্ধির জন্য সত্যম, শিবম, সুন্দরম (Truth,Beauty and goodness) হওয়া বাঞ্ছনীয় ৩)ভাববাদীরা ভবিষ্যৎ জীবন উপর জোর দেয় ৪) ভাববাদ কে আধ্যাত্মবাদ বলা হয়।১) প্রকৃতিবাদ প্রকৃতি থেকে ঈশ্বরকে আলেদা করা হয়েছে।২) বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।ঈশ্বর বা আধ্যাত্মিকতার বিশ্বাসের বদলে মানুষকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ। শিক্ষার পদ্ধতি হলো হাতেকলমে প্রশিক্ষণ ( Learning by doingবস্তুবাদ বস্তুর অস্তিত্ব সম্বন্ধিত বিচারধারা। বস্তুবাদ এর মতে বিশ্বের সমস্ত বস্তু সত্য যা প্রত্যক্ষন করা যায়।

  





Comments

Popular posts from this blog

Q-2

Q-1

।।প্রথাগত, অনিয়ন্ত্রিত ও প্রথাবহির্ভূত শিক্ষা ব্যবস্থা।। ।।