সক্রিয় অনুবর্তনে শাস্তি ও প্রবলক (reinforcement) এর মাধ্যমে আকাঙ্ক্ষিত আচরনের হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটানো যায়।
রিইনফোর্সমেন্ট বা প্রবলক হল এমন এক শক্তিশালী উদ্দীপক যার উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে আকাঙ্ক্ষিত আচরনের পুনারাবৃত্তি ঘটানো যায়।
ধনাত্মক প্রবলক বা রিইনফোর্সমেন্ট :
সুখকর কোনো শক্তিশালী উদ্দীপকের প্রভাবে যখন কোনো আচরন ঘটানো যায় বা পুনারাবৃত্তি ঘটানো যায় তখন সেই উদ্দীপককে ধনাত্মক উদ্দীপক বলে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যক্তি তার ছেলেকে বলল তুমি যদি ঘর পরিস্কার করে দাও তাহলে তোমায় নতুন খেলনা দেবো।এক্ষেত্রে খেলনা হল ধনাত্মক প্রবলক
ঋনাত্মক প্রবলক বা রিইনফোর্সমেন্ট :
কোনো অসুখকর শক্তিশালী উদ্দীপকের প্রভাবে যখন কোনো আচরন ঘটানো যায় তখন তাকে ঋনাত্মক আচরন বলে। উদাহরণস্বরূপ, অফিস বসের চিৎকার চেঁচামিচির ভয়ে তার অধ:স্তন কর্মী কাজটি দ্রুততার সাথে করল। গাড়িরতে সিটবেল্ট না পড়লে গাড়ির মধ্য বিপ বিপ বিপ করে আওয়াজ হয়।সুতারাং একঘেয়েমি শব্দ এড়াতে সিট বেল্ট পড়া।
শাস্তি:
শাস্তি হল এমন এক উদ্দীপক যা অনাকাঙ্ক্ষিত আচরনটির হ্রাস করে বা বিলুপ্ত ঘটায় বা ঘটাতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ভাইকে বড় ভাই মারছে,তখন তার বাবা তাকে বেত নিয়ে পিটালো। আবার এমন ও হতে পারত তার বাবা তাকে মারার জন্য বলল তুই ৫০ বার লেখ আমি ছোট ভাই কে মারব না। উপরে দুইপ্রকার শাস্তির মধ্যে,প্রথম প্রকার শাস্তিকে বলা হয় ঋণাত্মক শাস্তি ও দ্বিতীয় প্রকার শাস্তিকে বলা হয় ধনাত্মক শাস্তি।
সহজভাবে বলা যায় ধনাত্মক প্রবলক হল কোনো কিছু পাওয়ার জন্য কোনো কিছু করা। ঋনাত্মক প্রবলক হল কোনো কিছু এড়ানোর জন্য কোনো কিছু করা।
কখন কিভাবে কতবার রিইনফোর্সমেন্ট করা যাবে তার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের রিইনফোর্সমেন্ট সিডিউল তৈরি করা হয়।
রিইনফোর্সমেন্ট সিডিউলকে প্রধানত দুটিভাগে ভাগ করা যায়। যথা-(১)নিরবিচ্ছিন্ন সিডিউল এবং (২) আংশিক বা অন্তবর্তীকালীন সিডিউল।
আংশিক সিডিউল কে আবার চারটি ভাগে ভাগ করা যায়- ১) স্থির অনুপাত সিডিউল(fixed-ratio Schedule) : ২) স্থির-বিরতি সময়সূচী-(fixed-interval Schedule.) ৩) পরিবর্তনশীল-অনুপাত সিডিউল: (variable-ratio Schedule.) ৪) পরিবর্তনশীল-বিরতি সময়সূচী:(variable-interval Schedule.)
৪)পরিবর্তনশীল-অনুপাত সিডিউল: (variable-ratio Schedule.)
✍️পুরষ্কার এক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত সংখ্যার প্রতিক্রিয়ার পরে সরবরাহ করা হয়। ✍️এক্ষেত্রে পুরস্কার কখন আসবে সেটা না জানার ফলে বার বার এক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া করতে থাকে। ✍️উদাহরণস্বরূপ, গড়ে ৫ বার সঠিক প্রতিক্রিয়া করার পর পুরস্কার দেওয়া হলে সেটা প্রথম ক্ষেত্রে হতে পারে আবার পঞ্চম বারের ক্ষেত্রে হতে পারে।
উদাহরন : সেলসম্যান দরজায় দরজায় ঘুরে ঘুরে জিনিস বিক্রি করার সময় জানে না কোন বাড়িতে তার বিক্রি হবে।
শাস্তি:
শাস্তি হল এমন এক উদ্দীপক যা অনাকাঙ্ক্ষিত আচরনটির হ্রাস করে বা বিলুপ্ত ঘটায় বা ঘটাতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ভাইকে বড় ভাই মারছে,তখন তার বাবা তাকে বেত নিয়ে পিটালো। আবার এমন ও হতে পারত তার বাবা তাকে মারার জন্য বলল তুই ৫০ বার লেখ আমি ছোট ভাই কে মারব না। উপরে দুইপ্রকার শাস্তির মধ্যে,প্রথম প্রকার শাস্তিকে বলা হয় ঋণাত্মক শাস্তি ও দ্বিতীয় প্রকার শাস্তিকে বলা হয় ধনাত্মক শাস্তি।
Comments
Post a Comment